সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন খুটাখালী বনবিট প্রহরী জাকের আহমদ প্রকাশ চৌধুরীর নেতৃত্বে কাঠ পাচার ও রাত হলে জুয়ার আসর বসায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি কাঠচোর সিন্ডিকেট সদস্য এবং কথিত ভিলেজারদের নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় বিট অফিসে চলে জুয়ার আসর। এ জুয়া খেলায় স্থানীয় দাগী ফেরারী আসামী চিহ্নিত কাঠচোরদের দহরম রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বনবিটের ভিলেজাররা। তারা রক্ষক নামের ভক্ষক এ বন প্রহরীকে বদলী পূর্বক দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভিলেজারদের বরাত দিয়ে জানা গেছে বন প্রহরী জকের আহমদ প্রকাশ চৌধুরী খুটাখালী বন বিটে যোগদানের পর থেকে প্রতি রাতে চলে কাঠ পাচারের মহোৎসব। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ফেব্র“য়ারী কালা পাড়া মুচ্ছিকাটা থেকে স্থানীয় ভূমি দস্যু আক্তার হোসেন প্রকাশ আতলুর সহযোগীতায় বন প্রহরী জাকের আহমদের নেতৃত্বে প্রায় ১৮ মাথা গর্জন গাছ পাচার করেন পাশ্ববর্তী বগাছড়ি এলাকায়। এসময় বিষয়টি স্থানীয় ভিলেজারেরা আঁচ করতে পেরে খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা আব্দু রাজ্জাক ও ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ভুপেষ মুখার্জিকে অবহিত করেন। সংশ্লিষ্ট ভিলেজারদের অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বন প্রহরী জাকের তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখান। সূত্র জানায় খুটাখালী বনবিটের আওতাধীন ফকিরা খোলা ও মুচ্ছিকাটা থেকে প্রতিরাতে জাকেরের নেতৃত্বে ২/৩ গাড়ি কাঠ পাচার করা হয়। আর এসব কাজে স্থানীয়দের মধ্যে কথিত সোর্স ছৈয়দ আকবর, নুরুল ইসলাম, নুরুল আলম জড়িত রয়েছে।
অভিযোগে আরো জানা গেছে বিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাককে ভুলিয়ে ভালিয়ে এ বন প্রহরী জাকের মোটর সাইকেল নিয়ে সারাদিন বাজার ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যা হলে কাঠচোরদের নিয়ে অফিসে বসায় জুয়ার আসর। হেডম্যান ভিলেজারদের অভিযোগ এ বন প্রহরী জাকের আহমদ চৌধুরী এখন খুটাখালী বিটের অঘোষিত বিট কর্মকর্তা। তার গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী হওয়ায় বিএনপি‘র সাবেক মন্ত্রি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর খাস লোক পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে স্থানীয় একটি সুযোগ বঞ্চিত মহল অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে জানান।
পাঠকের মতামত